সব খবর সবার আগে
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সারাদেশ

এবার বান্দরবানে শিমের ব্যাপক ফলন

বান্দরবানে এবার শিমের বাম্পার ফলন হওয়ায় শিম চাষিদের মনে বইছে আনন্দের জোয়ার। ভালো ফলন হওয়ায় আগের বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন এ জেলার শিম চাষিরা। বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়াখোলা, কুহালং ও ডলুপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সবুজের মাঝে সাদা ও বেগুনি রঙের শিম ফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এ দৃশ্য যেকোনো পথচারীকে বিমোহিত করবে। সবজি হিসেবে উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই শিমের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।

0 165

জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী শিমে ৮৫ গ্রাম পানি, ৪৮ গ্রাম কিলোক্যালরি, ৩ গ্রাম আমিষ, ৬.৭ গ্রাম শর্করা, ০.৭ গ্রাম চর্বি, ০.৪ গ্রাম খনিজ লবণ, ২১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৭ মিলিগ্রাম লৌহ, ১৮৭ মাইক্রো মিলিগ্রাম ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-১, বি-২, ভিটামিন সি এবং আঁশ জাতীয় উপাদান রয়েছে।

সদর উপজেলার গোয়ালিয়া -খোলা এলাকার শিম চাষি মো. মুছা মিয়া জানান, উপজেলার গোয়ালিয়াখোলা ও বটতলী পাড়া এলাকায় ১ একর জমিতে এবার শিমের চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। ১০ দিন অন্তর অন্তর প্রতি ১০ শতক জমি থেকে ১২ থেকে ১৩ শত কেজি শিম বিক্রি করা যাচ্ছে এখন। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় ২৫ টাকা কেজি দরে পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছেন। যা গত বছরের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি। এতে এই মৌসুমে শিম থেকে কয়েক লাখ টাকা লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি সূত্রে জানা যায় উপজেলায় ১০৮ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ করা হয়েছে। তবে হেক্টর প্রতি ১৫ মেট্রিক টন শিম উৎপাদন হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে শিম চাষিদের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর এবং আপডেটের জন্য আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন। আপনি যেকোনো সময় বন্ধ করতে পারবেন।

Loading...

আমরা কুকি ব্যবহার করি যাতে অনলাইনে আপনার বিচরণ স্বচ্ছন্দ হয়। সবগুলো কুকি ব্যবহারের জন্য আপনি সম্মতি দিচ্ছেন কিনা জানান। হ্যাঁ, আমি সম্মতি দিচ্ছি। বিস্তারিত